বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে থেকে শুরু হয়ে একবিংশ শতাব্দীর পুরোটাজুড়েই চলছে প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন। এক একটি উদ্ভাবন আগের প্রযুক্তিকে অনেকটা বেকার করে তুলছে!
স্মার্টফোনগুলোর কথা চিন্তা করলেও দেখা যাবে কয়েক মাস অন্তর অন্তর স্মার্টফোনগুলো আগের তুলনায় দ্রুতগতির হচ্ছে। এ গতির সঙ্গেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশের অর্থনীতি এখনও মূলধন-নির্ভর হয়ে উঠেনি। এখনও আগের মতোই শ্রমিক-নির্ভর। এর প্রধান কারণ, আমাদের দেশে সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যায়!![]() |
21st Century Outsourcing |
এখন একটু পিছনে গিয়ে দেখে আসি !!
১৯৮৯ সালে পূর্বে আউটসোর্সিংকে ব্যবসার স্ট্র্যাটেজির মধ্যেও ধরা হতো না। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানিই সেলফ সাফিশিয়েন্ট না হওয়ার কারণে বাইরে থেকে আউটসোর্সার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর তাই বর্তমানে আউটসোর্সিংকে একেবারে গোড়া থেকেই ব্যবসার স্ট্র্যাটেজির মধ্যে ধরা হয়।আমরা যদি একটি অরগানাইজেশান দিকে লক্ষ্য করি তাহলে । আউটসোর্সিংয়ের ক্রমবিকাশ এবং প্রয়োজনীয়তা কি ভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হয় । উদাহরণস্বরূপঃ একটি ছোটো বা মাঝারী আকারের বেকারি একটি প্যাকেজকে, ইউপিএস বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার সংস্থার কাছে আউটসোর্স করতে পারে । এই ধরনের আউটসোর্সিং চুক্তিটি তখন ডেলিভারি টাইমলাইনে গ্রাহকের পরিচিতি ও খরচগুলোকে বিশদভাবে অন্তর্ভুক্ত করবে। যার ফলে সেই বেকারিটি তখন বড় কোম্পানীগুলো দ্বারা ফোকাসড হতে পারবে । এর আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, সেই বেকারিটি এখন গ্রাহকের পরিষেবাগুলোতেও মনোযোগ দিয়ে এটাকে উন্নত করতে পারবে । এই ধরণের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়াকেই প্রসেস স্পেসিফিক আউট সোর্সিংয়ের মধ্যে রাখা হয়।
এবার দেখে যাক দ্বিতীয় আউটসোর্সিংয়ের ক্রমবিকাশ এবং প্রয়োজনীয়তা ।
প্রফেশনাল আউটসোর্সিংয়ের
মধ্যে অ্যাকাউন্টিং, লিগ্যাল, পারচেজিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
সার্ভিসগুলো অন্তর্ভুক্ত। আউটসোর্সিং সার্ভিসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচ্ছে এই ধরণের
আউটসোর্সিং, কারণ এর খরচ তুলনামূলকভাবে অন্যান্য আউটসোর্সিং পরিষেবার চেয়ে কম হয়ে থাকে।
কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র উচ্চ মানের সংস্থাগুলোতে অ্যাক্সেস করার সময়, উক্ত ধরণের পরিষেবাগুলো
প্রদান করে থাকে যা উল্লেখযোগ্যভাবে ওভারহেড খরচ হ্রাস করে।Dependent information technology
আউটসোর্সিংয়ের ক্রমবিকাশ
এরপর যা দেখি উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে কোনো কোম্পানিই আউটসোর্সিংকে ব্যবসার
কাতারে ফেলতো না। ১৯৮৯ সালে পূর্বে আউটসোর্সিংকে ব্যবসার স্ট্র্যাটেজির মধ্যেও ধরা
হতো না। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানিই সেলফ সাফিশিয়েন্ট না হওয়ার কারণে বাইরে
থেকে আউটসোর্সার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর তাই বর্তমানে আউটসোর্সিংকে একেবারে গোড়া থেকেই
ব্যবসার স্ট্র্যাটেজির মধ্যে ধরা হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে আউটসোর্সিংয়ের প্রকারভেদ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু
করে। এসব আউটসোর্সিং সার্ভিসগুলো মূলত পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত: প্রফেশনাল প্রসেস,
ম্যানুফ্যাকচারিং, প্রসেস স্পেসিফিক, অপারেশনাল এবং প্রজেক্ট আউটসোর্সিং। বর্তমানে
বিভিন্ন দেশে বেশিরভাগ কোম্পানিই ফিজিক্যালি ও ভার্চুয়ালি আউটসোর্সার নিয়োগ দিয়ে থাকে।
যাদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন খাতে ভাগ করা হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক, আউটসোর্সিংয়ের
বিবর্তনে কত ধরণের আউটসোর্সিং করা সম্ভব।
মূলত একটি তথ্য প্রযুক্তি ও এর বিভিন্ন ফাংশনের সাথে সম্পৃক্ত সকল অংশের উপবিষয়ক উপার্জনের অভ্যাসকে আইটি আউটসোর্সিং বোঝায় । কোম্পানিগুলো স্ট্রাকচার তৈরি করা থেকে শুরু করে, সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সহায়তা থেকে প্রাপ্ত ফাংশনগুলোর জন্য আইটি আউটসোর্সিং ব্যবহার করে থাকে।
আইটি আউটসোর্সিং, বর্তমানে মুলত প্রফেশনাল আউটসোর্সিংয়েরই একটি প্রকার হিসেবে ধরা হয়। যদিও উক্ত আর্টিকেলে আমি এটাকে আউটসোর্সিংয়ের আলাদা প্রকার হিসেবে ধরে বর্ণনা করবো। আইটি আউটসোর্সিং । প্রায় প্রত্যেক ধরনের ব্যবসায় বর্তমানে আইটির চাহিদা রয়েছে। আইটি আউটসোর্সিংয়ের একটি ভালো উদাহরণ হচ্ছে, যদি কোনো সংস্থার আইটি খাত পরিচালনার জন্য টিমের দরকার হয়, তাহলে তারা শুধু নিজেদের জন্যেই নয় বরং তৃতীয় পক্ষের জন্যও একটি আইটি টিম তৈরি করতে পারে। যা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আউটসোর্সও করা সম্ভব হয়ে থাকে। এই উদাহরণ মূলত ছোট বা মাঝারি আকারের কোম্পানির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এর চেয়ে বড় ব্যবসাগুলো কেবল প্রদত্ত আইটি ফাংশনের একটি অংশকে আউটসোর্স করে থাকে।
নতুন প্রজন্মের কাছে 'আউটসোর্সিং' শব্দটি এখন আর নতুন নয় ৷ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আয়ের পথ বেছে নিচ্ছে ৷ লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইনে অর্থ উপার্জন একদিকে যেমন পেশাদারিত্ব অর্জনে সহায়তা করছে, তেমনি বেকারত্ব ঘুচিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করছে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একাংশকে ৷ মূলত, রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক না মফস্বল শহর গুলোতেও গড়ে ওঠা বেশ কিছু তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে বসে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের পরিকল্পিত উদ্যোগ নিলেও তার ব্যাপকতা লাভ করতে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ৷ ইনশাল্লাহ
0 Comments